Monday, June 4, 2012


এমন নেতা কোথায় পাই!
মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম


১৬ কোটি মানুষের দেশে
একজন নেতা জুটল না কপালে!
কাজ করবে যে নিরবধি,
জাতির ভাগ্য পরিবর্তনে!
দুর্ভাগা এ জাতি-
রয়েছো কুনোব্যাঙ হয়ে
মানুষ হতে পার নি!
তোমাদের মাঝে নেই কোন
মাহাথির মোহাম্মদ
নেলসন ম্যান্ডেলা, সু চি, 
লেলিন, মাও সে তুঙ
হাসানুল বান্না, ববি সেন্ডস
খোমেনি কিম্বা আহমেদি নেজাদ!
তোমরা আবার গর্ব কর
হয়েছো ইমার্জিং টাইগার।
বিবেকের দ্বারে কষাঘাত কর
দেশ জাতি নির্মানে নিবেদিত হতে
নিজেকে বিলিয়ে দাও।
আকাশে অশনি সংকেত-
নতুন প্রজন্ম দিশেহারা
পথভ্রষ্ট উদভ্রান্ত!
খুঁজছে নেতা যত্রতত্র-
বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজ
হাঁক চিৎকারে ক্লান্ত শ্রান্ত;
তথাকথিত নেতারা ব্যস্ত
আখের গোছাতে!
নেপোলিয়ান! তোমার সুরে বলি
আমাকে একজন নেতা দাও-
আমি একটি জাতি উপহার দেব। 


ভালবাসার স্বরূপ
মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম


কখন যে তার জন্মলগ্ন
কখন পেরুলো শৈশব কৈশোর
কখন উড়াল দিল যৌবন কাল
বার্ধক্যের রূপ কেমনই বা তার!
শতবার চেষ্টা বিফলে গেল
জানতে স্বরূপ তার।
উৎসুক হৃদয় হয়েছে উন্মুখ
নয়ন জুড়ে প্রাণভরে দেখতে চায়।
ইচ্ছে করে গবেষক সেজে-
তারেই খুঁজি বারবার।
প্রশ্নবাণে করি ক্ষত বিক্ষত
দেহখানি তার।
মুচকি হাসি দিয়ে সে
চলে যায় পর্দার আড়ালে
অন্দর মহলে শোভা পায়!
তবু জিজ্ঞাসু মন
মানে না কোন বাঁধন
ইচ্ছের নাটাই ঘুরায় বার বার।
বিফল মনোরথে যখন ফেরে
চোখে মুখে একগুচ্ছ প্রশ্ন-
কে তুমি, কেন তুমি,
কোখায় তোমার নিবাস?
কী- বা কাজ তোমার!
কঞ্চির ফাঁকে উঁকি মেরে
কে যেন বলে উঠে-
আমার পরিচয় বলতে মানা
তোমার মাঝেই আছি মিশে।
আমাকে পাবে তুমি-
তোমার অন্তরাত্মার স্বকীয়তায়


রিক্তের বেদন 
মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম



খাঁচার ভিতর বন্দী দশা

গহীন অরণ্যে ঘুটঘুটে অন্ধকার

লুকিয়ে আছে শত অব্যক্ত কথা

মিনেটে 72 প্রচেষ্টা 

বার বারই বিফলে মিলায়।

দিগন্তে অভ্র আবির

ছড়ায় জ্যোতি-

গড়ে উপচ্ছায়া প্রচ্ছায়া

টুক করে ডুবে যায় রবি

হাজারো কথা লক্ষ আশা

ছন্দ হারায় 

খুঁজে ধ্রুবতারা

অথবা সপ্তর্ষিমন্ডল।

কবিকে
নিয়ে প্রত্যাশা
অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম




রঙবেরঙের বাহারি উপাদানে
সাজানো গোছানো ছোট্ট কক্ষটির
শোপিস গুলো শৃধুই দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে
বর্ণিল রাতের আলো আঁধারির খেলায়
প্রত্যাশার ঢিবির চূঁড়াগুলো দীর্ঘতর হয়
গভীর রজনীতে ঘুম ভাঙ্গা চোখে-
উঁকি মারি উদার আকাশ পানে
নিবিড় বন্ধন আর নিয়মতান্ত্রিকতা
ওদের জীবনে এনেছে শান্তির বারতা!
কত কাল কত যুগ ধরে
সার্বজনীন সূত্রের সন্ধানে
বিজ্ঞানীর নিরন্ত প্রচেষ্টায়
সাধনা আর অপেক্ষার পালা!
অথচ তোমাকে খুঁজি সর্বত্র
বাস স্ট্যান্ড, রেল স্টেশন কিম্বা বিমান বন্দরে
সারি সারি যন্ত্রযানের ফাঁকে ফোকরে
শপিং মল, কনসার্ট অথবা বারবি কিউ- আসরে
কোথায় লুকিয়ে আছ তুমি নি:শব্দে সন্তপনে?
তোমার আগমনের মহেন্দ্রক্ষণ
সাজিয়ে তুলি কল্পনার তুলির আঁচড়ে,
লাল গালিচা বিছানো পথটা
নি:শব্দ যন্ত্রনায় কাতর প্রায়
স্টেজে আতশবাজির বার বার মহড়া
ইলেকট্রন প্রবাহে পড়ছে ভাটা
মাঝে মাঝে মাইক্রোফোন টেস্টিং
গরররর. শব্দে স্তিমিত হয়ে যায়!
তবু হয় নি অপেক্ষার ইতি
জড়ায়নি হতাশার জালিকা!
জানি, কবি তুমি আসবে
স্টেজটা কাঁপাবে
চির শান্তির বার্তা দিয়ে;
কিন্তু কবি
বড্ড বেশি দেরি করে ফেলছো!!
অদম্য চলা
অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম



একরাশ আশার মাঝে-
হতাশার মরিচিকা ঝিকমিক করে
ইচ্ছে করে তারে ছুঁয়ে জয় করতে
দিগন্তরেখা তাচ্ছিল্যের হাসি হাসে
কহে বৃথা চেষ্টা শ্রম সাধনা
বহমান জীবন নদী হারায় না স্রোত-
মাঝে মাঝে পড়ে ফারাক্কা অথবা টিপাইমুখ
দুকূল উপছিয়ে অপ্রতিরোধ্য গতি-
চলে শুধু সম্মুখপাণে
গন্তব্য জানে না সে নিজেও,
তবু চলা বিরামহীন অবিরত!
শপথে বলিয়ান থামবে না কখনো
কেন যেন তাকে থামাতে আসে-
সুনামি অথবা আগ্নেয় লাভা
ভেসে চলে বিরামহীন যোদ্ধা
যেন খালিদ বিন অলিদ
পেতে চায় অনন্ত সুখ-
যেতে চায় জান্নাতুল ফেরদাউস
সুখ কোথায় নিশ্চিত নয় সে
তবু জয় করতেই হবে তাকে